Tuesday, May 30, 2017

মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ:





বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দশম হিজরী সনের পবিত্র হজের সময় প্রায় লাখ ৫০ হাজার সাহাবির সামনে জিলহজ মাসের তারিখ বিকালে আরাফাতের ময়দানে যে বক্তব্য পেশ করেন তাকেই বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ বলে এটি ছিল মানব জাতির উদ্দেশে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সর্বশেষ ভাষণ এই ভাষণে মহানবী (সা.) বলেছিলেন-
হে মানব মন্ডলী!
     তোমরা হৃদয়ের কর্ণে মনোযোগ সহকারে আমার বক্তব্য শ্রবণ কর। আমি জানিনা, আগামী বছর সময়ে, - স্থানে, -নগরীতে সম্ভবত তোমাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ আর হবে কি না।হে মানব সকল! সাবধান! সকল প্রকার জাহেলিয়াতকে আমার দুপায়ের নিচে পিষ্ঠ করে যাচ্ছি। নিরাপরাধ মানুষের রক্তপাত চিরতরে হারাম ঘোষিত হল। প্রথমে আমি আমার বংশের পক্ষ থেকে রবিয়া বিন হারেস বিন আবদুল মোত্তালিবের রক্তের দাবী প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। সে বনি লাইস গোত্রে দুধ পান করেছে, হুযাইল তাকে হত্যা করেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেসুদকে চির দিনের জন্য হারাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। আমি আজ আমার চাচা আব্বাস ইবনে আবদুল মোত্তালিবের যাবতীয় সুদের দাবী প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।
            হে লোক সকল! বল আজ কোন দিন? সকলে বললআজ মহান আরাফার দিন, আজ হজ্বের বড় দিনসাবধান! তোমাদের একের জন্য অপরের রক্ত তার মাল সম্পদ, তার ইজ্জত-সম্মান আজকের দিনের মত, এই হারাম মাসের মত, সম্মানিত নগরীর মত পবিত্র আমানত। সাবধান! মানুষের আমানত প্রকৃত মালিকের নিকট পৌঁছে দেবে। হে মানব সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ একজন, তোমাদের সকলের পিতা হযরত আদম (আঃ) আরবের উপর অনারবের এবং অনারবের উপর আরবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই, সাদার উপর কালোর আর কালোর উপর সাদার কোন মর্যাদা নেই।তাকওয়াইশুধু পার্থক্য নির্ণয় করবে।

Monday, May 29, 2017

প্যাকেট না প্রোডাক্ট?

 Reading & Thinking:

আপনি কি প্যাকেট দেখে জিনিস কেনেন না প্রোডাক্ট দেখে?
মানে? ধরুন, আপনি নারকেল তেল কিনবেন। আপনি কি তেলের গুণগত মান দেখে- অর্থাৎ এই তেলে আপনার মাথা ঠান্ডা এবং চুল লম্বা ও ঝরঝরে হবে কি’না সেটা বিবেচনা করে তেল কিনবেন, নাকি তেলের বোতলটি কতখানি সুন্দর ও আকর্ষণীয় তা দেখে তেল নির্বাচন করবেন? হাস্যকর মনে হচ্ছে? অথচ এই হাস্যকর কাজটিই আমরা করে থাকি অহরহ।
আমাদের যুগের একটি গুরুতর সমস্যা হোল বাহ্যিক সৌন্দর্যপ্রীতি। সুন্দর জিনিস সবার ভালো লাগে, লাগাটাই স্বাভাবিক, এতে দোষের কিছু নেই। এটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তখনই যখন কোন বস্তুর মূল্যায়নে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রাইটেরিয়া হয়ে দাঁড়ায়, যখন এর তুলনায় আর সকল বিচার বিবেচনা সচেতনতা ব্যাকসিটে স্থান পায়। এই অতিরিক্ত সৌন্দর্যপ্রীতির কারণে আমরা অনেক দাম দিয়ে ভেজাল পটেটো চিপ্স কিনে বাচ্চাদের কচি মুখে তুলে দেই অথচ বাসায় ক’টা তাজা আলু কেটে তেলে ভেজে দেইনা, অনেক দাম দিয়ে লাল টুকটুকে আপেল কিনে আনি যদিও তার ভেতরটা হয় পঁচা পোকায় খাওয়া অথচ এর চেয়ে তিনগুণ পুষ্টিমানসম্পন্ন তাজা পেয়ারা অনাদরে পড়ে থাকে বাজারের ঝাঁকায়। খাঁটি জিনিসের মূল্যায়নের এই যোগ্যতা এবং মানসিকতার বিলোপ এখন আর কেবল বস্তুগত নির্বাচনের ক্ষেত্রেই সীমিত নেই বরং আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর ক্ষেত্রেও আমরা শুধু বাহ্যিক দিক দেখে বিবেচনার ফলে ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হই।

Thursday, May 25, 2017

কেন?

 Reading & Thinking:

কেন?
খুব ছোট্ট একটা প্রশ্ন, উত্তরটাও তেমন কঠিন নয়। কিন্তু উত্তরটা অজানা অনেকেরই।
মানুষকে জিজ্ঞেস করে দেখেন, কেন আপনি এ কাজটা করছেন? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জবাব পাবেন না। বেশিরভাগ মানুষের এখন আর চিন্তা করার সময় নেই। তারা যন্ত্রের মতো কাজ করে যাচ্ছে। কেন করছে ভাবছে না।
কিন্তু পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা বোঝে কেন তারা কাজটা করছে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই।
আমি চা পান করি না। অভ্যাস নেই। আমার বাবা-মা দুজনেরই অভ্যাস আছে। আমার স্ত্রী শত কাজের মাঝেও চা বানিয়ে দেয় বাবা-মাকে। অথচ নিজের জন্য বানায় খুব কম। বানালেও কাজের চাপে সেটা খেতে পারে না। অথবা ভুলে যায়। তাহলে, কেন সে আমার বাবা-মাকে চা বানিয়ে দেয়? টাকা-পয়সার জন্য? সে তো টি-গার্লের চাকরি করে না। সে কোনো চাকরিই করে না। আমাদের সংসারে তাঁর দেওয়া শ্রমটার কোনো মজুরি আমরা দিই না।
তাহলে কেন?
এই কেনটার উত্তর পেতে হলে আমাদের বুঝতে হবে টাকা-পয়সার প্রেরণা ছাড়াও মানুষ অনেক কাজ করে। যদিও অধুনা সেকুলার শিক্ষা সফলভাবে আমাদের মাথায় ঢোকাতে পেরেছে যে—যে কাজের বিনিময়ে টাকা নেই—সেটা মূল্যহীন।
– সারাদিন অফিস করে আবার বাসায় গিয়ে শশুর-শাশুড়ি-স্বামীর সেবা করতে হবে? উনি কি দেবতা? তুমি কি দাসী?
– তোমার স্ত্রী তো সারাদিন বাসায় শুয়ে বসে থাকে। বাচ্চা বুঝি আর কারো হয় না? তার কাপড়টাও ধুয়ে দিতে হবে তোমাকে? ছি ছি, স্ত্রৈণ বুঝি একেই বলে!

Wednesday, May 24, 2017

বাংলার মুসলিম জাগরণে ইসলাম প্রচারক মুনশী মেহের উল্লাহ


                 আমরা খুব সহজে যেসব কীর্তিমান মানুষকে ভুলে যেতে বসেছি, মুনশী মেহের উল্লাহ তাঁদের অন্যতম। উপমহাদেশে মুসলমানদের বৃদ্ধিবৃত্তিক অসহায়ত্ব ঘোচাতে তাঁর কর্মতৎপরতা আমাদের জন্যে কেবলই মুগ্ধতা ও অনুপ্রেরণার সৃষ্টি করে। এই আলোকিত মানুষটির বিস্ময়কর জীবন ও কর্ম বিস্মৃতির অতলে হারাতে চলেছে।
জাতি হিসেবে ইতিহাস চর্চা ও সংরক্ষণের প্রতি আমাদের এমনিতেই কোন দায়বোধ নেই, তার ওপর আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্যের চেতনাকে ধারণ ও লালন করে ভবিষ্যতের পথরেখা অঙ্কনের চিন্তাও এখন বিরল। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের গর্ব ও অহঙ্কার মুনশী মেহের উল্লাহ তেমনই একজন বিস্মৃত বিস্ময়।
মুনশি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ বৃটিশ বাংলার অন্যতম বাগ্মী, ইসলাম প্রচারক, সমাজসংস্কারক ছিলেন। মেহেরুল্লাহ ১৮৬১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বৃহত্তর যশোর জেলার (বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা) কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোপ গ্রামে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস যশোর সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামে। যশোর শহরে সামান্য দর্জিগিরি করে জীবকা নির্বাহ করতেন। এ সময় খ্রিষ্টান পাদ্রিরা ইসলাম ধর্ম বিরোধী প্রচারে এবং ইসলামের কুৎসা রটনায় তৎপর ছিল।
মুনশী মেহের উল্লাহ মুসলমানদের বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করার জন্য কী করেননি? মুনশী মেহের উল্লাহর পরিচয় তাঁর কর্মে। এ কারণেই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সীমাবদ্ধতা ও পেশাগত জীবনের দৈন্য জয় করতে পেরেছিলেন। রাজশক্তির বলে বলিয়ান খিষ্টানদের ধর্ম প্রচারের নামে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে তিনি সর্বত্রই যুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছেন। বিভ্রান্তির অন্ধকার দূর করেছেন। লেখনী, বাগ্মিতা আর ক্ষুরধার যুক্তির অনল বর্ষণে মিশনারিদের সব অপতৎপরতার জবাব দিয়েছিলেন তিনি।
দুটো উদাহরণ দেই:
খ্রিস্টান পাদ্রীদের পক্ষ থেকে একটি বাহাসে প্রশ্ন করা হোল: ‘ইসলাম ধর্ম মতে জান্নাত হলো ৮টি এবং জাহান্নাম হলো ৭টি। এটা নিতান্তই হাস্যকর কথা। কারণ, আপনারাই বলেন মুসলমানরা ব্যতীত আর কেউ জান্নাতে যাবেনা। কিন্তু পৃথিবীতে মুসলমানদের বিপরীতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাই বেশি। আবার বলেছেন মুসলমানদের মধ্যেও সবাই জান্নাতে যাবেনা। খাঁটি ঈমানদারেরাই যাবে কেবল। দেখেন, তাহলে এই গুটিকয়েক মানুষের জন্য ৮টা জান্নাত আর বিপরীতে এই বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য ৭টা জাহান্নাম! এর চে’ বড়ো কৌতুক আর কী হতে পারে?’ বলেই সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।

রমযানের সাধারন ভুলত্রুটি রমযানের সাধারন ভুলত্রুটি



. রামাদানকে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠান মনে করাঃ
আমাদের অনেকের কাছে রামাদান তাঁর আধ্যাত্মিকতা হারিয়ে ইবাদাতের বদলে একটি প্রথাগত অনুষ্ঠানের রূপ লাভ করেছে। আমরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘zombie’র মত উপোস থাকি শুধুমাত্র আমাদের আশেপাশের সবাই রোজা রাখে বলে। আমরা ভুলে যাই যে এই সময়টা আমাদের অন্তর ও আত্মাকে সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য…. আমরা দু’আ করতে ভুলে যাই, ভুলে যাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করতে। নিশ্চিতভাবে আমরা পানাহার থেকে বিরত থাকি কিন্তু সেটা কেবল লৌকিকভাবেই!
যদিও আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “জিবরাঈল (আঃ) আমাকে বলেছেন, আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তির নাক মাটিতে ঘষুন যার নিকট রামাদান আসল এবং তার গুনাহসমূহ মাফ হল না, এবং আমি বললাম, আমিন। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহ ঐ ব্যক্তির নাকও মাটিতে ঘষুন যে জীবদ্দশায় তার পিতামাতার একজনকে অথবা উভয়কে বৃদ্ধ হতে দেখল এবং সে জান্নাতে প্রবেশ করার অধিকার রাখল না তাদের সেবা করার মাধ্যমে আর আমি বললাম, আমিন।
অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তির নাক মাটিতে ঘষুন যার উপস্থিতিতে যখন আপনার নাম উচ্চারণ করা হয় তখন সে আপনার প্রতি সালাম বর্ষণ করে না আর আমি বললাম, আমিন।”(তিরমিযী, আহমাদ, এবং অন্যান্য _আলবানী কর্তৃক সহীহকৃত)

২. পানাহারের ব্যাপারে অতিমাত্রায় চাপে থাকাঃ
আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে, রামাদান মাসের পুরোটাই খাবার ঘিরে  আবর্তিত হয়। সালাত, কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া বদলে আমরা পুরোটা দিন কেবল পরিকল্পনা প্রণয়ন, রান্নাবান্না, কেনাকাটা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে চিন্তা করে কাটাই। আমাদের চিন্তা ভাবনার পুরোটা জুড়েই থাকে ‘খাওয়া-দাওয়া’।
যার দরূন আমরা উপোস থাকার মাসকে ভোজের মাসে পরিণত করেছি। ইফতারের সময়ে আমাদের টেবিলের অবস্থা দেখার মত! পুঞ্জীভূত নানাপদী খাবার, মিষ্টান্ন এবং পানীয়ে পরিপূর্ণ। পক্ষান্তরে, আমরা রামাদানের মুখ্য উদ্দেশ্য ভুলে যাচ্ছি, আর এভাবে আমাদের লোভ আর প্রবৃত্তির অনুসরণ বাড়তে থাকে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষালাভ করার বদলে। এটাও একধরনের অপচয় এবং সীমালঙ্ঘন।

“…..তোমরা খাও এবং পান করো, এবং কোনো অবস্থাতেই অপচয় করো না, আল্লাহ্ তাআলা কখনোই অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না ।”(সূরা আ’রাফঃ৩১)

Tuesday, May 23, 2017

মাহে রামাযান ও আমাদের করণীয়


প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য চেষ্টা করতে হয়। চেষ্টা-সাধনা ছাড়া কোন কিছু অর্জন করা সম্ভব হয় না। ঠিক তেমনিভাবে মহান আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্যও প্রয়োজন যথাসাধ্য প্রচেষ্টা। এজন্য মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে কতিপয় কাজ নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং কেবল তাঁর ইবাদতের আদেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি বিশেষ ইবাদত হ’ল রামাযানের ছিয়াম, যা আল্লাহ তাঁর বান্দার উপর ফরয করেছেন। আল্লাহ বলেন,
 يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِيْنَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَ-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হ’ল, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর ফরয করা হয়েছিল, যাতে তোমরা সংযমশীল হ’তে পার’ (বাক্বারাহ ১৮৩)
রামাযানের ছিয়াম আল্লাহর পক্ষ হ’তে তাঁর বান্দাদের জন্য একটি বিশেষ নে‘মত। আর তা পালনের অফুরন্ত প্রতিদানও মহান আল্লাহর নিকটে রয়েছে। হাদীছে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘ছিয়াম স্বতন্ত্র, তা আমারই জন্য। আর আমিই তার প্রতিদান দিব’।[1] তাই রহমত, বরকত ও মাগফিরাতে পরিপূর্ণ এ মাসে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। মাহে রামাযানের কার্যাবলীকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন- ১. আত্মিক কার্যাবলী ২. বাহ্যিক কার্যাবলী। নিম্নে এগুলো সম্পর্কে আলোকপাত করা হ’ল-
১. আত্মিক কার্যাবলী :
(ক) আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আকাঙ্খা : প্রত্যেক ছায়েমের উচিত শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ছিয়াম পালন করা। কারণ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা না হ’লে তা কবুল হবে না। রামাযানের ছিয়াম পালন প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সাধনা। কেননা এ ইবাদতে লোক দেখানোর অহেতুক অভিলাষ থাকে না। তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ছিয়াম পালন করার মাধ্যমেই বান্দা তার কাঙ্খিত পুরস্কার লাভ করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ صَامَ يَوْمًا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ بَاعَدَ اللهُ مِنْهُ جَهَنَّمَ مَسِيْرَةَ مِائَةَ عَامٍ ‘যে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য একদিন ছিয়াম পালন করবে, আল্লাহ জাহান্নামকে তার নিকট হ’তে একশত বছরের পথ দূরে সরিয়ে দিবেন’।[2]

Monday, May 22, 2017

ভয়কে জয় করার তিনটি শক্তিশালী কৌশল

 
মানুষ হিসেবে আমাদের প্রায় সবারই ভয় পাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। এমনকি জগতের কিছু চূড়ান্ত সফল ও আত্মবিশ্বাসী মানুষেরও এই অভিজ্ঞতাটি রয়েছে। ভয় একটি ইতিবাচক অনুভূতি কারণ এটি আমাদের যেকোনো ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের ভয় কিছু অতিরঞ্জিত অনুমানের ভিত্তিতে তৈরি হয়। আর এই ভয়ঙ্কর চিন্তাভাবনাগুলোকে দেখা যায় আমাদের লক্ষ্য ও স্বপ্নপূরণের পথে।

সচরাচর আমদের মাঝে যে ভয়গুলো দেখা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
    - ব্যর্থতার ভয়
    - প্রত্যাখ্যাত (Rejected) হওয়ার ভয়
    - নিজের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার ভয়

যখন আমরা অনুধাবন করতে পারবো যে আমরা অতিরিক্ত ভীতিপ্রবণ, তখনই আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কীভাবে এই ভয়কে জয় করা যায়? আর এ সম্পর্কিত তিনটি কৌশলের কথাই নিচে বর্ণনা করা হয়েছেঃ
১. পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রকৃত ধারণা রাখুন
অনেক সময় আমাদের ভয়ের মূল কারণ হচ্ছে পরিস্থিতি সম্পর্কে তির্যক (ভিন্ন) ধারণাপোষণ। আমাদের শঙ্কার ভিত্তি হচ্ছে ভুল ধারণা। কিন্ত এই ভুল ধারণাগুলো শুধরে নেয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে পারি।

মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ:

বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ ( সা .) দশম হিজরী সনের পবিত্র হজের সময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সাহাবির সামনে জিলহজ মাসের ...