বিশ্ব নবী হযরত
মুহাম্মদ (সা.)
দশম
হিজরী
সনের
পবিত্র
হজের
সময়
প্রায়
১
লাখ
৫০
হাজার
সাহাবির সামনে
জিলহজ
মাসের
৯
তারিখ
বিকালে
আরাফাতের ময়দানে
যে
বক্তব্য পেশ
করেন
তাকেই
বিদায়
হজের
ঐতিহাসিক ভাষণ
বলে। এটি
ছিল
মানব
জাতির
উদ্দেশে মহানবী
হজরত
মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের সর্বশেষ ভাষণ। এই
ভাষণে
মহানবী
(সা.)
বলেছিলেন-
“হে মানব মন্ডলী!
তোমরা
হৃদয়ের কর্ণে ও মনোযোগ
সহকারে আমার বক্তব্য শ্রবণ
কর। আমি জানিনা, আগামী
বছর এ সময়ে, এ-
স্থানে, এ-নগরীতে সম্ভবত
তোমাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ
আর হবে কি না।
“হে মানব সকল! সাবধান!
সকল প্রকার জাহেলিয়াতকে আমার
দুপায়ের নিচে পিষ্ঠ করে
যাচ্ছি। নিরাপরাধ মানুষের রক্তপাত চিরতরে হারাম ঘোষিত
হল। প্রথমে আমি আমার
বংশের পক্ষ থেকে রবিয়া
বিন হারেস বিন আবদুল
মোত্তালিবের রক্তের দাবী প্রত্যাহার
করে নিচ্ছি। সে বনি লাইস
গোত্রে দুধ পান করেছে,
হুযাইল তাকে হত্যা করেছে।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে ’সুদ’ কে
চির দিনের জন্য হারাম
ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল।
আমি আজ আমার চাচা
আব্বাস ইবনে আবদুল মোত্তালিবের
যাবতীয় সুদের দাবী প্রত্যাহার
করে নিচ্ছি।
হে
লোক সকল! বল আজ
কোন দিন? সকলে বলল
“আজ মহান আরাফার দিন,
আজ হজ্বের বড় দিন”
সাবধান! তোমাদের একের জন্য অপরের
রক্ত তার মাল সম্পদ,
তার ইজ্জত-সম্মান আজকের
দিনের মত, এই হারাম
মাসের মত, এ সম্মানিত
নগরীর মত পবিত্র আমানত।
সাবধান! মানুষের আমানত প্রকৃত মালিকের
নিকট পৌঁছে দেবে। হে
মানব সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের
সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ একজন, তোমাদের
সকলের পিতা হযরত আদম
(আঃ)। আরবের
উপর অনারবের এবং অনারবের উপর
আরবের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই,
সাদার উপর কালোর আর
কালোর উপর সাদার কোন
মর্যাদা নেই। ‘তাকওয়াই’ শুধু
পার্থক্য নির্ণয় করবে।