Sunday, April 16, 2017

যে কারণে প্রতিদিনই বই পড়া উচিত


আপনার কি মনে আছে সর্বশেষ আপনি কবে একটি বই পড়ার জন্য হাতে তুলে নিয়েছেন? যদি না থাকে, তাহলে এখনই সময় সুস্থ থাকতে চাইলে একটি বই হাতে তুলে নিন। আর হ্যাঁ, বই পড়া আপনাকে মানসকিভাবে সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে।
অজানা বিশ্বকে জানার পাশাপাশি বই আপনার মনোযোগের উন্নতিতে এবং ঘুমেও সহায়ক হবে। জানতে চান কীভাবে? তাহলে পড়ুন…

১. মানসিক উদ্দীপনা
ড্রিম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জিগি জর্জ অনুভব করেন, 'যখন কোনো ব্যক্তি একটি বই পড়েন,
২. শব্দভাণ্ডার উন্নত হয়
আমাদের উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হয়ত শুধু ক্ল্যাসিকগুলোকেই সত্যিকার সাহিত্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। যেগুলো পড়ে শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা যায়। কিন্তু যখন পড়ার কথা আসে তখন বলতে হবে এমন কিছু বই রয়েছে যেগুলো আপনাকে নতুন নতুন শব্দ শিখতে সহায়তা করবে। সংক্ষেপে, পড়ুন, পড়ুন এবং পড়ুন। একটি সমৃদ্ধ শব্দভাণ্ডার আপনাকে শুধু পেশাগত উন্নতিতেই নয় বরং আত্মসম্মানবোধ গড়ে তুলতেও সহায়তা করবে।
৩. মানসিক অবসাদ দূর করতে সহায়ক
বই আপনাকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ভিন্ন একটি জগতে নিয়ে যাবে। কর্মস্থলে একটি বাজে দিন কাটানোর পর বই আপনার জন্য উচ্চ আরামদায়ক হতে পারে। অথবা আপনি যদি এমন কোনো ব্যক্তিগত ইস্যুতে সংগ্রামরত থাকেন যা আপনাকে রেহাই দিচ্ছে না তখনও বই আপনার জন্য বেশ স্বস্তিদায়ক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, নীরবে ছয় মিনিটের জন্য বই পড়লে আপনার হৃৎকম্পনের গতি ধীর হয়ে আসবে এবং টেনশন দূর হবে।

৪. উন্নততর মনোযোগ
আপনার সাধারণ একটি কর্মব্যস্ত দিন সম্পর্কে ভাবুন। এমন একটি দিনের বেশির ভাগ সময়ই আপনি কাজ সংশ্লিষ্ট ই-মেইল ঘাঁটাঘাঁটি করেন, সামাজিক গণমাধ্যম পেইজগুলো চেক করেন, গৃহস্থালির টুকিটাকি কাজ এবং অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। এর ফলে আমাদের উৎপাদনশীলতা এবং একই সময়ে মাত্র একটি বিষয়ে মনোযোগদানের সক্ষমতা কমে আসে। কিন্তু আপনি যখন বই পড়ায় ডুবে যেতে পারবেন তখন এই পরিস্থিতি বদলে যাবে। আপনি আপনার চারপাশের ঘটনাঘটন সম্পরর্কে ভুলে যাবেন এবং আপনার সব মনোযোগ একটি মাত্র গল্পে ঢেলে দিতে পারবেন।
৫. বই আপনাকে ভালোভাবে ঘুমাতে সহায়তা করবে
আপনার বিছানায় যাওয়ার রুটিনে বই পড়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সর্বশেষ কাজ হিসেবে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে আপনি আপনার ঘুমানোর পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া


তিনি যেহেতু সেটিকে চোখের সামনে ভিডিও কন্টেন্ট এর রূপে গড়ে উঠতে দেখেন না, তখন তার মনের ভেতর নানা ধরনের কল্পনা তৈরি হয়। এটি মনকে অনেক উম্মুক্ত করে। " অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিতভাবে বই পড়লে আলঝেইমার বা ডিমেনিশয়া রোগের ঝুঁকি কমে আসে।

No comments:

Post a Comment

মহানবী (সা.)-এর বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ:

বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ ( সা .) দশম হিজরী সনের পবিত্র হজের সময় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সাহাবির সামনে জিলহজ মাসের ...